শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
ফ্যাসিবাদের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করা হবে — আমীরে জামায়াত। আটরশির মুরিদ খন্দকার শাহজাদা মেম্বারের জীবন কাহিনী । ২৬ জুলাই খুলনায় চরমোনাই পীরের গনসমাবেশ ইসালামী আন্দোলনের যৌথসভা  খুলনা ওয়েস্টার্ন ইন হোটেলে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার কালীগঞ্জে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেষ্টুনীসহ বৃক্ষ রোপন ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন খুলনার ওয়েস্টার্ন ইন হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার। উথলীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, সারাদেশ থেকে খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ। তলে তলে ইরানের বিপক্ষে লড়েছে সৌদি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস! বরগুনার দক্ষিণ রামনায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিল দলবল ভারতে অঙ্গ বিক্রি করে বাংলাদেশের একটি এলাকা হয়ে গেল ‘এক কিডনির গ্রাম’ ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলা খুলনায় বেড়েছে পাটের আবাদ আফগানিস্তান সীমান্তে ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনারা সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে অবৈধ মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ। ভিপি নুরসহ ২৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ সার্বিয়ান ভিসাসহ ২০ বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার, ভারতীয় ট্রাকচালক বেনাপোলে আটক। খুলনায় পথশিশুদের নিয়ে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। প্রশ্নে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, বাতিল হলো পরীক্ষা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফের চালু করলো যুক্তরাষ্ট্র জুলাই শুধু বিপ্লবের না, হান্নান মাসউদের মতো ধান্দাবাজদের কপাল খোলার মাস : নির্ঝর

কুয়াকাটায় সাবেক ৮ এমপি–মন্ত্রীর বিপুল জমির সন্ধান

ডেস্ক রিপোর্টঃ / ৪৮
আপডেটঃ সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪

প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:

দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সময় বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাসহ কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকায় অন্তত আটজন সাবেক এমপি-মন্ত্রীর কেনা জমির সন্ধান মিলেছে।ওই এলাকায় যাদের নামে সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, তারা হলেন সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী খাজা নারগীছ হোসেন, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমানের, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী সাবেক এমপি নাসরিন জাহান রতনা, সাবেক এমপি রানা মো. সোহেল, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও সাবেক এমপি অভিনেতা ফেরদৌস। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মুরসালিন আহমেদেরও জমি আছে সেখানে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নিজ নামে ১ একর ৫০ শতাংশের বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এই জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা, যদিও স্থানীয় হিসাবে জমির মূল্য ৩০ কোটি টাকার বেশি।

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নামে ১৩ শতাংশ জমি আছে কুয়াকাটায়। সরকারি দামে এই জমির মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এ ছাড়া তার স্ত্রীর নামে ২ একর ৮০ শতাংশ জমি রয়েছে সেখানে। এই জমির মূল্য সরকারি হিসেবে সাড়ে ১০ কোটি এবং স্থানীয় হিসেবে ৫৬ কোটি টাকারও বেশি।

সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমানের নামে ৮০ শতাংশ জমি আছে কুয়াকাটায়। সরকারি হিসেবে এই জমির মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। তবে স্থানীয়দের হিসেবে তা ১৬ কোটি টাকারও বেশি।জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি রুহুল হাওলাদার তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কে আর ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিন খতিয়ানে যথাক্রমে ৬৪ শতাংশ, ১ একর ১০ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ জমির মালিক। এ ছাড়া কুয়াকাটা হোটেল গ্রান্ড সি রিসোর্ট নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলও রয়েছে তার।

রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী বরিশাল-৬ আসনের সাবেক এমপি নাসরিন জাহান রতনার নামেও কুয়াকাটায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্যিক জমি রয়েছে। এই জমির ওপর হানিমুন প্যালেস নামে একটি বিশাল মার্কেট করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেলের কুয়াকাটা মৌজায় ২ একর ৬৬ শতাংশ জমির তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি হিসেবে এই জমির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় হিসাবে তা ৫৩ কোটি টাকারও বেশি।

সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাবেক এমপি অভিনেতা ফেরদৌস ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মুরসালিন আহমেদের কুয়াকাটায় জমি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ সালে কুয়াকাটা মৌজায় বাণিজ্যিক জমির হস্তান্তরের মূল্য নির্ধারিত ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩২ টাকা এবং আবাসিক জমির শতাংশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৮৫ টাকা। তবে স্থানীয় হিসাব অনুযায়ী  ওই জমিগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হওয়ায় প্রতি শতাংশ জমির সর্বনিম্ন মূল্য রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটায় যারা জমি কিনে, সাধারণত বিনিয়োগকারী হিসাবেই কিনে। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সাবেক এমপি মন্ত্রী ও রাঘববোয়ালরা কুয়াকাটায় একরে জমি কিনেছে, তবে এসব জমির এক যুগ পার হলেও অনেকেই কোনো স্থাপনা নির্মাণ করেনি। আর এতেই বোঝা যায়, তাদের অবৈধ কালো টাকাকে লুকিয়ে রাখার জন্য পর্যটন এলাকার মতো মূল্যবান স্থানে জমি কিনে ফেলে রেখেছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পটুয়াখালী জেলার আহ্বায়ক পিযুস কান্তি হরি বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব এমপি-মন্ত্রীরাই দুর্নীতিগ্রস্ত। আর তাদের দুর্নীতির প্রচুর পরিমাণে উদাহরণ হলো কুয়াকাটার মতো জায়গায় জমি কেনা। দুর্নীতি করার কারণেই যেখানে-সেখানে জমি কিনেছে।

সূত্র: আজকের পত্রিকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Theme Created By ThemesDealer.Com