প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্কঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী শত্রুতার জেরে শহিদুল ইসলাম নামে এক জেলেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠছে।শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই জেলে শহিদুলের মৃত্যু হয়।এর আগে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের একচল্লিশ ঘর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। শহিদুল একই এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে।(৭ জুলাই) বেলা ১২ টা নাগাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সদ্য শেষ হওয়া পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরদুয়ানি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এরমধ্যে শহিদুলকে হত্যায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।নিহত শহিদুলের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, প্রয়োজনীয় কাজ শেষে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ৫ থেকে ৬ জন কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে রাত দেড়টার দিকে হাসপাতাল নিয়ে আসি।নিহত শহিদুলের ভাই নাসির বলেন, গত পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে,জাকির বিশ্বাস, নাসির, রুবেল, সোবহান, মুসাসহ বর্তমান পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান এনামুল হোসাইনের লোকজন আগুন দিয়ে কয়েকদিন আগে শহিদুলের মেয়ের ঘর পুড়িয়ে দেয়।তিনি আরও বলেন, পাথরঘাটা থানায় এ নিয়ে মামলা করলে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এনামুলের নির্দেশে তার লোকেরা আমার উপর হামলা করে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় আবারও থানায় মামলা করেছি বলে এনামুলের নির্দেশে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাশিদা তানজুম বলেন, রাত ১.৩০ মিনিটের সময় নিহত শহিদুলকে নিয়ে আসেন এখানে তার শরীরে বিশটির মত ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পায়ের রগও কাটা ছিল। যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।এ বিষয় পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিহত শহিদুল কর্তৃক পূর্বেই মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলা চলমান আছে। হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।এই অভিযোগের বিষয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হোসাইনকে খুজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তী তে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।এখন পর্যন্ত কোন হত্যা মামলা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,শহিদুলের পরিবারের পক্ষ কেউ মামলা করেন নি। আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা পাঠিয়েছি। এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতরের চেস্টা চলমান