হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তারা আগামী ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি নির্বাচন উপহার দেবে। সেই নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আমরা তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করবো। সেখানে সবার ভোটের অধিকার থাকবে। গণতন্ত্র থাকবে, মানবাধিকার থাকবে।তিনি বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ— এমন একটি সরকার আমরা অবিলম্বে দেখতে চাই। রাজনীতির মাঠ খোলা আছে, ছাত্রসমাজ যদি রাজনীতি করতে চায়, তারা দল গঠন করে নির্বাচনে আসুক। এখন মুক্ত পরিবেশে দল গঠন করে জনগণের দ্বারপ্রান্তে এসে নির্বাচন করতে পারে তারা। জনগণ যাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, আমরা মাথা পেতে তা মেনে নেবো।
মেজর অব. হাফিজ আরো বলেন, আমরা সংস্কারের কথা শুনছি, ভালো। সংস্কার করতে কোনও দোষ নেই, তবে সংস্কার হলো একটা চলমান প্রক্রিয়া। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে সংস্কার তো চলতেই থাকবে। জনগণ কি ততদিন বসে থাকবে? ১৭ বছর ধরে বিএনপি সংগ্রাম করে এসেছে— জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের লড়াকু ছাত্রসমাজ এবং বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল প্রমাণ করেছে যে, বাঙালি সাহসী জাতি। এই সংগ্রামের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আশা করি, আমাদের যেন আর কেউ পদানত করতে না পারে।