প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে বিশেষ চিহ্ন দিতেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। ওই চিহ্ন দেখে পরীক্ষক তাঁদের বেশি নম্বরও দিয়েছেন। এভাবে ৩২ পরীক্ষার্থীকে বেশি নম্বরও দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষায় যে প্রশ্ন আসত, তা আগেই সাজেশন আকারে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এভাবে সাত চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে নেওয়া হয় ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মাদারীপুরে ২০১৯ সালে পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এ মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।
অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান ও পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা। আরেক আসামি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে দুদক।