বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
৩৫% মার্কিন শুল্ক: প্রথম দিনের আলোচনা শেষে ইতিবাচক উভয়পক্ষ হাসিনার গুলির নির্দেশের ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং যেভাবে যাচাই করেছে বিবিসি বরগুনায় বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ আজ সারজিস আলমের বক্তব্যের বিষয় আপনার মতামত কি? ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে কী করবেন জামালপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ‘বিজয় চত্বর’, স্থাপন হচ্ছে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ সালথাজুড়ে গরু চুরির হিড়িক, আতঙ্কে খামারিরা প্রতিটি ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে ; খুলনা মহানগরী আমীর। ফকিরহাটে হ্যামকো কারখানায় কোটি টাকার ডাকাতি: মালামাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৯ সোয়া ১৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : তালুকদার আবদুল খালেক ও হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা। খুলনায় এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভা ১১ জুলাই। বীরগঞ্জে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে গ্রামের মানুষ ‘আল্লাহ বিচার করবেন’ জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে ভাঙচুর আহতদের এখন সময় ভালো যাচ্ছে না, তবে আমি সব সময় আশাবাদী মানুষ: মির্জা ফখরুল এক কলেজে তিন অধ্যক্ষ চেয়ার দখল নিয়ে রশি টানাটানিতে প্রশাসনিক জটিলতা, পাঠদানে ব্যাহত বরগুনার পাথরঘাটায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য স্যালাইন প্রদান

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নতুন বছরে ছাপা হচ্ছে ৪০ কোটি পাঠ্যবই, বাজেট বাড়ছে ৫৫০ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্টঃ / ৪৪
আপডেটঃ শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:

পরিবর্তনের পথ ধরে আবার ১৪ বছর আগের পাঠ্যসূচিতে ফিরছে প্রাথমিক-মাধ্যমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা। ফলে নতুন বছরে ছাপা মোট বইয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি ১৬ লাখ, বাড়ছে ছাপার বাজেটও।নতুন বছরে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিপুল সংখ্যক এসব বই ছাপতে আরও সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথমে ১২০০ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫০ কোটি টাকা। চলতি বছর নতুন বই ছাপার খরচের চেয়ে তা ৩৫০ কোটি টাকা বেশি।

নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে বেশি সংখ্যক বই থাকার বিষয়কে সামনে এনেছে জাতীয় শিক্ষা বোর্ড ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।বই ছাপার দায়িত্বে থাকা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান আগের শিক্ষাক্রমের ফিরে যাওয়ায় প্রায় সাড়ে ৯ কোটি কপি বেশি বই আগামী বছর ছাপতে হবে বলে তথ্য দেন।এছাড়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মত নতুন বই ছাপানোর জন্যও ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

এসম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের বই ছাপার খরচ প্রথমে নির্ধারিত ছিল ১২০০ কোটি টাকা। তবে বইয়ের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াসহ কয়েকটি কারণে খরচ বাড়াতে হচ্ছে। এনসিটিবি ৭৮৩ কোটি টাকা বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও ৫৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে।”চলতি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে ২০২৩ সালের শেষে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার কপি নতুন বই ছাপানো হয়েছিল। এজন্য খরচ হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ বছর ব্যয় বেশি হবে ৩৫০ কোটি টাকা।

প্রকাশকরা ‘সিন্ডিকেট’ করে বই ছাপানোর খরচ বাড়িয়ে দরপত্র জমা দেওয়ার কারণেও ব্যয় বেড়েছে বলে অভিযোগ এনসিটিবি চেয়ারম্যানের।আগের বছরগুলোর বই উৎসবের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন বছরের প্রথম দিন এবারও শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বই ছাপার কাজ শেষ করতে চায় এনসিটিবি।

তবে নতুন বই পরিমার্জনসহ বিভিন্ন কারণে বই ছাপা শুরু করতে দেরি হয়েছে। এখনও অনেক বইয়ের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত হয়ে প্রকাশনা কোম্পানির হাতে পৌঁছেনি। এসব কারণে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই যে বছরের শুরুতে বই পাবেন তা মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।এনটিসিবির কর্মকর্তারা বলেন, এখন পর্যন্ত ৪১টি প্রকাশনা কোম্পানি প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপার কাজ পেয়েছে। চতুর্থ থেকে বাকি শ্রেণিগুলোর বই ছাপার কাজ কারা করবে সেই দরপত্র চূড়ান্ত হয়েছে। নবম শ্রেণির বইয়ের কাজ দেওয়ার দরপত্রও চূড়ান্ত হয়নি।

তবে এ ক্যাটাগরির প্রকাশনা কোম্পানির সংখ্যা কত সেই তথ্য মেলেনি।এবার গত ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার সব বই দেশেই ছাপানো হচ্ছে।একই সঙ্গে সেনাবাহিনী দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক কোটি কপি বই ছাপানোর কাজ করবে। সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় তাদেরকে এ কাজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান।ছাত্র-জনতার তুমুল গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষাবর্ষের নবম মাসে এসে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তখন ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, “বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে গতবছর নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে। আর বিভাগ-বিভাজন ফিরে আসবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে। তাই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন করে ৬ কোটি ৬৪ লাখ কপি বই ছাপানো হচ্ছে।”তার ভাষ্য, “খরচ বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হল প্রকাশকরা ফর্মাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ খরচ বেশি ধরে টেন্ডার জমা দিয়েছেন। তারা সিন্ডিকেট করে এমনটি করায় খরচ অনেকটা বেড়ে গেছে। যদিও বিগত বছরগুলোতে অনেকে ৫৩ শতাংশ কম খরচ ধরেও টেন্ডার জমা দিয়েছিলেন।”

তথ্যসূত্র:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Theme Created By ThemesDealer.Com