প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভারতীয় লোকজনের বাধায় সিলেটের বিয়ানীবাজার সীমান্তবর্তী সুতারকান্দি ও জকিগঞ্জ সীমান্তবর্তী করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে গত সোমবার থেকে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে পণ্য পরিমাপ নিয়ে জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ১৭ দিন কয়লা, চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে ঐ সব শুল্ক স্টেশনের দুই পারে। শুল্ক স্টেশনগুলো স্থবির থাকায় সেখানকার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পরিবার নিয়ে দারুণ অনটনে আছে। পাশাপাশি স্টেশনগুলো থেকে সরকার বিপুল টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।সূত্রমতে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার ‘হিন্দু ঐক্যমঞ্চ’র ব্যানারে একদল ভারতীয় বিক্ষুব্ধ নাগরিক দেশটির আসাম প্রদেশের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে আসে। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ ও সে দেশের পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে বিক্ষোভকারীদের চাপে ঐ শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। পরে ঐ স্টেশন দিয়েও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শেরে মাহবুব মুরাদ জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক ও পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন জানান, সুতারকান্দিতে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত ২০০ ট্রাক এবং এপারে শেওলা শুল্ক স্টেশনে অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়ে আছে। করিমগঞ্জে আটকা পড়েছে ফল ও কাঁচামালবোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক।তিনি আরও বলেন, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সঙ্গে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। অতীতে শুল্কায়নের আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করতেন। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেওয়ায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে তামাবিল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ডাউকিতে পাথর ও চুনাপাথর বোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক আটকা পড়ে আছে। প্রতিদিনই আমদানিকারকদের ব্যাংক-ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে।