প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে লাঞ্ছিত হন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার হাজী নাছির। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দর থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা ঐ হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার হাজী নাছির বলেন, বুধবার সকালে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি মূলক সভা ছিল। সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবং বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরিদর্শনে আসেন।তারা চলে যাওয়ার পর যুবদলের নেতাকর্মীরা সংসদে প্রবেশ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে। ওই সময় বাধা দিতে গেলে যুবদলের ছেলেরা হাজী নাছিরকে লাঞ্ছিত করেন।
বন্দর থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন কবির বলেন, দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে প্রবেশ করতে দেখি। ওই সময় আমরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে প্রবেশ করতে চাইলে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। তখন আমরা ভেবেছি এখানে কোন গোপন সভা হচ্ছে। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি সংসদ থেকে বেরিয়ে গেলে আমরা জোর করে সেখানে প্রবেশ করি এবং দেখি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে তখনও শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো। আমরা উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের সঙ্গে বলি যাদের হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাদের ছবি এখনও কেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদে টানানো থাকবে।
ওই সময় যুবদলের নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি অপসারণ করে এবং সংসদের বাইরে থাকা শেখ মুজিবের প্রতিচ্ছবি কালি দিয়ে ঢেকে দেয়। এর বেশি কিছু হয়নি।বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি দুপুরের পর সেখানে থেকে কিছু ছবি অপসারণ করা হয়েছে। কোন ভাংচুর বা হামলার ঘটনা ঘটেনি। ঘটনা প্রসঙ্গে একই কথা বলেন বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম।