প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিশাল একটা অংশকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন মানি না। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট করেন তিনি।পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লিখেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচি চলছে। ওয়েল! দেড় কোটি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা দেড় কোটি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাই-বোনেরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, নির্বাচন কমিশনকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও তথ্যের ঘাটতি থাকার অজুহাতে পোস্টার, ব্যালট বা ডাকযোগে ভোট দেয়ার আইনি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে তার বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে নাগরিকদের বিশাল একটি অংশ নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনার একটি চক্রান্ত ছিল।
নির্বাচন কমিশন যদি প্রবাসী দেড় কোটি যোদ্ধার ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে আমি এটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো। এতে আমি যদি একজনও হই, তবে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো। হাসিনা স্টাইলে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে আর হতে দেবো না। (লাউড এন্ড ক্লিয়ার)’, যোগ করেন তিনি।
নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে প্রবাসী ভাইয়েরা এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘নিশ্চিত শাস্তির বিধান জানার পরও আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাসিনার বিরুদ্ধে প্রবাসীরা রাস্তায় নেমেছিলেন, প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। অসহোযোগ আন্দোলনে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনার পতনকে তরান্বিত করেছেন। সুতরাং এই বিশাল একটা অংশকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন মানি না।’
তিনি বলেন, এক জনৈক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রবাসীদের অনেকের আইডি কার্ড নেই।’ তো কী হয়েছে? প্রবাসীদের জন্য একটা পোর্টাল তৈরি করা হোক। যাতে তারা সহজে ভোটার হতে পারেন। তাদের জন্য ‘এ্যাডভান্স ভোটিং সিস্টেম’ চালু করা যেতে পারে।‘স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য প্রবাসী ভাই-বোনদের ভোটাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আমরা বসে থাকবো না’, যোগ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।