প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশে কবে আসবেন, কখন আসবেন আর কী কী করবেন, তা নিয়ে একটা চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেছে বাফুফে। আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচ খেলতে হামজা বাংলাদেশে আসছেন। পুরো পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন হামজা। হামজার বাবা দেওয়ান মোরশেদ আগেই বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু তার মা রাফিয়া চৌধুরী আসেননি। তার ছেলে হামজা, ব্রিটিশ পুত্রবধূ এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে এক সঙ্গে বাংলাদেশে আসবেন।বাফুফে হতে ৯ জনের টিকিট পাঠানো হয়েছে লন্ডনে। আগামী ১৭ মার্চ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে নামবেন সবাই। সেখান থেকে তার গ্রামের বাড়ি বাহুবল, নবীগঞ্জ যাবেন হামজা। বাফুফের দুশ্চিন্তা এখানেই। হামজা একটা গ্রামের ভেতরে যাবেন, সেখানে তার মায়ের বাড়ি। যাওয়া-আসা এবং যদি সেখানে এক রাত থাকতে হয়, তাহলে তার একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাবিথ আউয়াল একটি টিম পাঠাচ্ছেন হামজার বাড়িতে।
চার জনের মধ্যে রয়েছেন বাফুফের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন, গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন এবং কামরুল ইসলাম হিলটন। তারা ১৬ মার্চ সিলেটে উড়াল দেবেন। ওখানে গিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশসানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। হামজা এবং তার পরিবারের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ঢাকায় থেকে টিম যাবে। নিরাপত্তা বিষয়টি ভেবে বাফুফে চেয়েছিল হামজা সিলেট শহর পর্যন্তই থাকুক। কিন্তু হামজার মা রাফিয়া চৌধুরী চাইছেন তার ছেলে যেন এক রাতের জন্য হলেও মায়ের গ্রামের বাড়িতে যান। হামজা সেখানে থাকবেন কি না, সেটি নির্ভর করছে হামজার মায়ের ওপর। বাফুফে এটি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে। মায়ের সঙ্গে কথা বলবেন তাবিথ আউয়াল। কীভাবে সেটি সহজ সমাধান করা যায় তা আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন তাবিথ এবং হামজার মা। তাবিথ আউয়াল এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।
১৮ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরবেন হামজা। তার পরিবারকে বলা হয়েছে বিকালে ৪টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরতে হবে। কিন্তু হামজার মা রাতে ৮টার ফ্লাইটে ফিরতে চান। বিকালের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরতে হলে দুই ঘণ্টা আগে বাসা থেকে রওনা দিতে হবে। রাতে শেষ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরলে আরো কিছুক্ষণ নিজ বাসায় সময় দিতে পারবেন হামজা। অনেক দিন পর হামজা গ্রামে মায়ের বাসায় ফিরছেন। তাই মা রাফিয়া চৌধুরী ছেলেকে বেশি সময় নিজ ঘরে রাখতে চাইছেন।
১৮ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে হামজার সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বলে বাফুফে সূত্রে জানা গেছে। ঐ সূত্রের দাবি হামজা একজন বড় মাপের ফুটবলার। ব্রিটিশ নাগরিক, তার স্ত্রী ব্রিটিশ নাগরিক, সন্তানরাও আসবেন, মা রাফিয়া চৌধুরীও ব্রিটিশ নাগরিক। তিনিও থাকবেন। বিষয়টি ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।’
১৮ মার্চ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের সিডিউল পরিবর্তন হলে সিলেট থেকে ঢাকায় নেমে শেফিল্ড ইউনাইটেডের ফুটবলার হামজা সরাসরি বাংলাদেশ টিম হোটেলে উঠবেন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি সেশন থাকবে। প্লেয়ারদের সঙ্গে পরিচিতি পর্ব থাকবে।হামজার পুরো পরিবার ভারতে যাবে খেলা দেখতে। সেভাবে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ২৫ মার্চ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশে ফিরবেন হামজা ও তার পরিবার। এক দিন ঢাকায় অবস্থান করবেন। এ সময় তিনি কিছু সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। যদি ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হয়ে থাকে তাহলে ভারত থেকে ঢাকায় ফিরে সাক্ষাৎ করতে পারেন হামজা। সব অনুষ্ঠানিকতা নিয়ে হামজার মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করতে হচ্ছে। লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরে সব কথা প্রকাশ করবেন বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।