লিটন কুমার ঢালী 

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের সহায়তায় শুরু হয়েছে ‘হেল্প ডেস্ক’সহ ধারাবাহিক স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও জাগোনারীর সহযোগিতায় বরগুনা জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের আয়োজনে ২০ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুটি শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। আজকের দিনে, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রথম শিফটে কাজ করেন মোঃ ইউসুফ সাগর, মিম, আরাফাত সহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় শিফটে, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, দায়িত্ব পালন করেন “উসসাস’ এর প্রধান নির্বাহী ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের মিডিয়া সেক্রেটারি মোঃ অলিউল্লাহ্ ইমরান, সদস্য মোঃ আতিকুর, লোপা ও অন্যান্যরা। মোট ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক আজকের দিনেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবীরা হাসপাতালের নিচতলার গেটে স্থাপিত হেল্প ডেস্কে অবস্থান করে রোগী ও তাদের স্বজনদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা প্রদান করেন। ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীদের সঠিকভাবে মশারির ভেতরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করেন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে স্বজনদের অযথা ভিড় এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।

জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে ময়লা ফেলার জন্য আলাদা রঙের ঝুড়ি সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর হয় এবং হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে।

এই বিষয়ে উসসাস এর প্রধান নির্বাহী ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের মিডিয়া সেক্রেটারি মোঃ অলিউল্লাহ্ ইমরান বলেন, ডেঙ্গু একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। একটু সচেতনতা ও সঠিক তথ্য দিয়েই আমরা অনেক জীবন রক্ষা করতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি হাসপাতাল পরিবেশকে সুন্দর রাখতে এবং রোগী ও স্বজনদের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে। এটি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করা একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রয়াস, যা আমরা ২০ দিন নয়—প্রয়োজনে তার চেয়েও বেশি সময় ধরে চালিয়ে যাব।

স্বেচ্ছাসেবীদের এ মানবিক উদ্যোগ বরগুনার স্বাস্থ্যখাতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে অভিমত জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।