শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
বীরগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হ্যামকো গ্রুপে দুর্ধর্ষ ডাকাতি: কোটি টাকার কাঁচামাল লুট, নিরাপত্তা কর্মী-শ্রমিক জিম্মি। খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক আহত। এইচএসসি পরীক্ষার্থী কাওসারের আত্মহত্যা: বেতাগীতে শোকের ছায়া ফ্যাসিবাদের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করা হবে — আমীরে জামায়াত। আটরশির মুরিদ খন্দকার শাহজাদা মেম্বারের জীবন কাহিনী । ২৬ জুলাই খুলনায় চরমোনাই পীরের গনসমাবেশ ইসালামী আন্দোলনের যৌথসভা  খুলনা ওয়েস্টার্ন ইন হোটেলে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার কালীগঞ্জে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেষ্টুনীসহ বৃক্ষ রোপন ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন খুলনার ওয়েস্টার্ন ইন হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার। উথলীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, সারাদেশ থেকে খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ। তলে তলে ইরানের বিপক্ষে লড়েছে সৌদি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস! বরগুনার দক্ষিণ রামনায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিল দলবল ভারতে অঙ্গ বিক্রি করে বাংলাদেশের একটি এলাকা হয়ে গেল ‘এক কিডনির গ্রাম’ ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলা খুলনায় বেড়েছে পাটের আবাদ আফগানিস্তান সীমান্তে ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনারা সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে অবৈধ মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ। ভিপি নুরসহ ২৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ সার্বিয়ান ভিসাসহ ২০ বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার, ভারতীয় ট্রাকচালক বেনাপোলে আটক।

৪ দফা দাবিতে ফের রাজপথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ডেস্ক রিপোর্টঃ / ১৭৫
আপডেটঃ মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিবাদের দোসর সচিব ও কমিশনের প্রধানদের আজকের মধ্যে অপসারণ ও বৈষম্যের শিকার আমলাদের সুযোগের সমতা নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি আদায়ে ফের রাজপথে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানান।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’র অংশ হিসেবে রাজপথে নামেন শিক্ষার্থীরা৷ এসময় শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, ভিসি চত্বর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত ‘রোড মার্চ পালন করেন তারা। আন্দোলনের সমল শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া-প্রার্থনা করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনী হাসিনার ফাঁসি চাই, বিচার বিচার বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই; আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে; দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না” ইত্যাদি স্লোগান দিতে শুনা যায়।
চার দফা দাবিতে বলা হয়:–
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
বিচারব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, বিগত ১৬ বছর সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটার বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নিজেদের সুবিধার্থে দলীয় লোক বসিয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিরীহ জনগণ ও সাধারণ ছাত্র জনতার উপর ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড চালিয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিচার নিশ্চিত করে নাই। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। তার ভুক্তভোগী হয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ। তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার বিভাগের উদ্দ্যেশ্য করে বলতে চাই এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের যতদিন না বিচার করা হবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অবিলম্বে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার হত্যাকাণ্ডের বিচারে সাজা দিতে হবে। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সকল মন্ত্রালয়ের সচিব এবং সকল কমিশনের প্রধানকে আজকের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশন সহ সকল কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে আছে। আজকের মধ্যেই সকল ফ্যাসিস্ট আমলাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক আমলাদের নিয়োগ দিতে হবে। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, নিরীহ মানুষ ও ছাত্র জনতার লাশের ওপর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা শহীদ ভাইদের রক্তের দামে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশকে নস্যাৎ হতে দেব না। প্রয়োজনে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবো। ফ্যাসিস্টদের দোসররা এ দেশে থেকে স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তার করছে। অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Theme Created By ThemesDealer.Com