প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
পর্যন্ত আমি আয়নাঘরে ছিলাম। আমি কোনো গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত না। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।
জিয়াউল আহসান বলেন, যেসব ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে, তাদের কেউ বলুক, আমি তাদের সেখানে রেখেছি। যেভাবে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থ। হার্টে সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা রয়েছে।
প্যাগাসাস সফটওয়্যারের বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্যাগাসাস বলে কিছু নেই। আমি মোবাইল ট্র্যাকিং করিনি।
জিয়াউল আহসান আদালতে কথা বলায় এর বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা দাবি করেন, জিয়াউল আহসান গণহত্যার আসামি। তার কথা বলার অধিকার নেই। এর তীব্র বিরোধিতা করেন জিয়াউল আহসানের বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার। এরই মাঝে জিয়াউল আহসান বলেন, র্যাবে থাকাকালে আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গভীর রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নিউমার্কেট থানায় করা শাহজাহান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নিউমার্কেট থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. সজিব মিয়া। অন্যদিকে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে তার বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।