শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রশ্নে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, বাতিল হলো পরীক্ষা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফের চালু করলো যুক্তরাষ্ট্র জুলাই শুধু বিপ্লবের না, হান্নান মাসউদের মতো ধান্দাবাজদের কপাল খোলার মাস : নির্ঝর এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ভয় দেখানোর জন্য: নাহিদ ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতে দুইজনকে দণ্ড দেওয়ায় থানায় হামলা-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২০ বিচারিক আদেশে জামায়াতের পুরনো নিবন্ধনই বহাল, গেজেট প্রকাশ করল ইসি। জাতীয় সমাবেশ সফল করতে বৈঠক ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান; গোলাম পরওয়ারের। বিভাগীয় শহরেও হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে রাজনৈতিক ঐকমত্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বরিশালে যুগান্তর ব্যুরো প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা ; বিএমএসএফের প্রতিবাদ বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান: ‘কেএনএফ’-এর শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ দুইজন নিহত। শার্শা সীমান্তে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণ ও ভারতীয় পণ্য উদ্ধার, আটক ১২ বিএনপির দফা নয়, অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান ও অ্যাকশন চাই: সারজিস আলম আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি কালীগঞ্জে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেষ্টুনীসহ বৃক্ষ রোপন ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন জলবায়ু মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুইডেন সহায়তা করছে: পরিবেশ উপদেষ্টা মাত্র দু’বছর পিছিয়েছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি : পেন্টাগন থাইল্যান্ডে আবারও ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী বদল : নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিতে প্রস্তুত রূপসায় শহীদ ইয়াসিনের করব জিয়ারত করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বীরগঞ্জে বিদায় প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিককে রাজকীয় সংবর্ধনা টেলিকম খাতে নতুন নীতিমালা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ১৯৭৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অধ্যাপক ডক্টরজন কীটস এর ইতিহাস

ডেস্ক রিপোর্টঃ / ১৯৮
আপডেটঃ রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও দেশ বরেণ্য জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান ১৯৭৮ ইং সালের কোন এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অধ্যাপক এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডক্টরজন কীটসকে নিয়ে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে আসেন। উদ্দেশ্য বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর সাহেব খাজাবাবা ফরিদপুরীর তরিকা প্রচারসহ বিশ্ব ব্যাপী তদীয় আধ্যাত্মিক প্রভাব ও বিশাল বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের পদ্বতি স্বচক্ষে দেখানো। দরবারের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখে শুনে এক পর্যায়ে ডক্টর কীসট পীর কেবলাজানের সাথে সাক্ষাত করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে হযরত পীর কেবলাজান রাত ১০ টায় সাক্ষাত করার সময় দিলেন। সাক্ষাতের স্থান তৎকালীন ৬নং বিল্ডিং এর নিচতলায়,পূর্ব পার্শের ব্লকে।

এ্যাডভোকেড মনিরুজ্জামান, ডাঃ আমিন, ও পীর কেবলাজানের ছোট জামাতা জনাব রাশেদুল হাসান ছিলেন সার্বিকতত্ত্বাবধানে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ি রাত ১০ টায় হযরত কেবলাজান তাশরিফ আনলেন।
সাদা লুঙ্গী, সাদা পাঞ্জাবী ও সাদা টুপী পরিহিত কেবলাজান হুজুর একটি সাধারন চৌকির উপর অর্ধশায়িত ভংগীতে উপবিষ্ট। আর বিদেশি মেহমান ডক্টর কীসটকে বসতে দেয়া হলো একটি সোফায়। এ সময় হুজুর পাক অত্যন্ত মধুর কন্ঠে ডক্টর কীসটকে ইংরেজী ভাষায় অভ্যর্থনা জানিয়ে বললেনঃ ”Please take your seat”. অতঃপর হযরত হুজুর কেবলাজান একে একে ডক্টর কীটস এর নাম-ধাম, পেশা ও স্ত্রী-পুত্র-সন্তানাদিসহ তার সামাজিক ও পারিবারিক বিষয়াদির খোঁজ-খবর নিলেন, আর এই আলাপ বা কথোপকতনের পুরোটাই ছিল ইংরেজি ভাষায়।

আটরশির অজপাড়াগাঁয়ে সার্বক্ষণিক ধর্ম-কর্ম ও অধ্যাত্বিক জ্ঞান সাধনার এ বিশাল কর্ম শালায় যিনি লাখ-লাখ মুরীদ সন্তানদের নিয়ে আত্মমগ্ন থাকেন, যিনি বাহ্যিক দৃষ্টিতে অর্ধশতাব্দী কাল ধরে বাইরের জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন ও নিভৃত জীবন-জাপন করছেন, তিনি আধুনিক বিশ্বের সর্বাধুনিক উচ্চশিক্ষিত একজন বিদেশি অতিথির সাথে এমন পরিচ্ছন্ন ও সাবলীল ইংরেজি ভাষায় এত স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারেন!!
এ যেন এক অবিশ্বাস্য এক অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হল সবার কাছে। উপস্থিত সবাই আত্মবিমহিতের মত উভয়ের কথা শুনছেন ঠিক এমন সময় ডক্টর কীসট হঠাৎ দাড়িয়ে গেলেন এবং কাঁপতে কাঁপতে বললেনঃ “Mr. Zaman!! Help me! Help me!

ডক্টর কীটস তখন শুধু থরথর করে কাঁপছিলেন, কি হয়েছে তা বলতে পারছিলেন না। তার এ অবস্থা দেখে হুজুর পাক অত্যান্ত সহানুভুতি ও স্নেহের কন্ঠে বললেঃ “You are so tired ! Please go and take rest”.

ডক্টর কীটস এর উদ্দেশ্য এ কথা বলে হযরত পীর কেবলাজান হুজুর উঠে গেলেন। পেছনে পেছনে ডক্টর কীটসসহ অন্যানরাও অনুসরন করলেন।

ডক্টর কীটস এর প্রতিটি পদক্ষেপ তখনও টালমাটাল, কেমন যেন অসংলগ্ন। এসময় তিনি বিড়বিড় করে নিজে নিজেই বলতে লাগলেনঃ “He is a great Holy Man! The greatest Holy Man in the world”.

ডক্টর কীটস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে বিশ্রামের জন্য তাকে দ্বিতীয় তলার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হলো।সেখানে ডক্টর কীটসকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কোন প্রকার সংকোচ না রেখেই সব কথা খুলে বললেন, যার সারমর্ম হচ্ছে এইঃ
“আমি তো বিশ্বখ্যাত ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির প্রফেসর, তাই ইচ্ছা হলো হুজুরকে আমার শাস্ত্র মতে হিপ্নোটিজম তথা বশীকরণের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখতে। এই উদ্দেশ্য আমি আমার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষণ শুরু করি। কিন্তু যখন আমি তাঁর চোখের মধ্যে আমার তীক্ষ্ণ দৃশটি নিক্ষেপ করলাম, তখন আমার মনে হল –আকাশ থেকে এক আশ্চর্য নূরের জ্যোতি বা প্রলয়ংকারী আলোর স্রোত যেন তাঁর চোখের সাগরে নেমে এসেছে মহাপ্লাবনের ভয়াবহতা । শুধু তাই নয়, পরক্ষনেই আমি আর এক বিস্ময়কর ঘটনা দেখে ভয়ে আতংকে শিউরে উঠলাম। দেখলাম সেই জ্যোতির্ময় অলৌকিক চোখের মধ্যে ক্রুদ্ধ আগ্নেয়গিরীর মত ফেনিয়ে উঠেছে এক ভয়াবহ প্রচণ্ড সাইক্লোন-যা আমাকে মুহূর্তের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে।

হ্যাঁ আমি সেখানে দেখলামঃ “Hurricanc of the pacific Ocean”. আর আমি থরথর করে কাঁপতে শুরু করলাম, সাহায্য কামনা করলাম তোমাদের।”

ডক্টর কীটস রাতে আবার হুজুর কেবলার সাথে সাক্ষাত করতে চাইলেন। হযরত কেবলাজান হুজুর তাকে পরে দিন সকাল ১০ টার সময় দেখা করার সময় দিলেন। পরে দিন সকাল ১০ টার সময় দক্ষিন হুজরা
শরীফের মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে ডক্টর কীটসকে বসতে দেওয়া হলো(ডক্টর কীটস এর ইচ্ছায়)।
এসময় ডক্টর কীটস হুজুর কেবলার কাছে সবিনয় আবেদন জানিয়ে বললেনঃ
ডক্টর কীটসঃ” I want to change my religion just now and I want to convert myself to a perfect in muslim.
হুজুর কেবলাঃ “Not now it will be done in coarse of time.
এবার উঠে ডক্টর কীটস অতি বিনয়ের সাথে হযরত কেবলাজান হুজুরের কদম মোবারক জড়িয়ে ধরে
বললেনঃ “I want your blessings Holy man”.

ডক্টর কীটসকে হতবাগ করে দিয়ে এবার হুজুর কেবলাজান বললেন, “If you have belif in Isa(A) my blessings will be with you.”

অতঃপর হুজুর কেবলা ডক্টর কীটসকে বিদায় জানিয়ে
বললেনঃ “Keep contact with Darbar Sharif”.

এসময় ডক্টর কীটস আবেগাপ্লুত অশ্রুভেজা অবয়বে, নতশিরে,করোজড়ে, অপরিসিম বিনয় ও আন্তরিকতার সাথে জামানার মহা ইমাম,মহা মুজাদ্দেদ,আখেরি মুর্শেদ, বিশ্বওলী খাজাবাবা শাহ সুফি ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) সাহেবের কদম মোবারক ও হস্ত মোবারকে বার বার চুমু খেলেন।

অতান্ত সাদামাটা, লুঙ্গী-টুপি ও পাঞ্জাবী পরিহিত এমন সাধারন একজন মানুষের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা জাতীয় অধ্যাপক ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডক্টর জন কীটস –এর মত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক বিশাল ব্যাক্তিত্বের এরুপ নিঃসংকোচ আত্মসমর্পণ, ভক্তি ভালোবাসা ও বিস্ময় আতিশয্য এমন অশ্রু বিসর্জনের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য একমাত্র ভুক্তভোগী আত্মার দর্শক ছাড়া অন্য কারো পক্ষে বোঝার সাধ্য নেই।

⛔আল্লাহর ওলীগনের কারামত তিঁনাদের জন্য খুবই নগন্য বিষয়। তিঁনার কারামত প্রকাশ করতে চান না। তবে মাঝে মাঝে মানুষকে হেদায়াতের আলোতে আলোকিত করার জন্য কারামত প্রকাশ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Theme Created By ThemesDealer.Com