শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
ভারতে অঙ্গ বিক্রি করে বাংলাদেশের একটি এলাকা হয়ে গেল ‘এক কিডনির গ্রাম’ ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলা খুলনায় বেড়েছে পাটের আবাদ আফগানিস্তান সীমান্তে ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনারা সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে অবৈধ মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ। ভিপি নুরসহ ২৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ সার্বিয়ান ভিসাসহ ২০ বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার, ভারতীয় ট্রাকচালক বেনাপোলে আটক। খুলনায় পথশিশুদের নিয়ে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। প্রশ্নে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, বাতিল হলো পরীক্ষা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফের চালু করলো যুক্তরাষ্ট্র জুলাই শুধু বিপ্লবের না, হান্নান মাসউদের মতো ধান্দাবাজদের কপাল খোলার মাস : নির্ঝর এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ভয় দেখানোর জন্য: নাহিদ ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতে দুইজনকে দণ্ড দেওয়ায় থানায় হামলা-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২০ বিচারিক আদেশে জামায়াতের পুরনো নিবন্ধনই বহাল, গেজেট প্রকাশ করল ইসি। জাতীয় সমাবেশ সফল করতে বৈঠক ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান; গোলাম পরওয়ারের। বিভাগীয় শহরেও হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে রাজনৈতিক ঐকমত্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বরিশালে যুগান্তর ব্যুরো প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা ; বিএমএসএফের প্রতিবাদ বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান: ‘কেএনএফ’-এর শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ দুইজন নিহত। শার্শা সীমান্তে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণ ও ভারতীয় পণ্য উদ্ধার, আটক ১২ বিএনপির দফা নয়, অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান ও অ্যাকশন চাই: সারজিস আলম

শিশুদের মসজিদে নিয়ে আসা সম্পর্কে ইসলামের বিধান

ডেস্ক রিপোর্টঃ / ২২২
আপডেটঃ সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্কঃ
আমরা অনেকেই শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাই। বিশেষ করে জুমার দিনে বাবা, দাদা-নানা ও ভাইয়ের সঙ্গে মসজিদে যেতে শিশুরাও আনন্দ ও আগ্রহ বোধ করে। তাই পাঞ্জাবি-টুপি পরে তারাও বড়দের হাত ধরে নামাজের জন্য মসজিদে চলে আসে। বাংলার ঐতিহ্যের এটি একটি চোখ জুড়ানো দৃশ্য।
অনেক ওলামায়ে কেরামের মতে তাদের মসজিদে নিয়ে আসা অনুচিত। কারণ ছোট্ট শিশুদের কারণে মুসল্লিদের নামাজে সাধারণত বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। কিন্তু শিশুদের সঠিকভাবে নামাজ শেখানো রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই শিশুদের আল্লাহর ঘরের সঙ্গে পরিচয় করানো ও নামাজের জন্য অভ্যস্ততা করানো উচিত। কেননা শিশুকালে যে জিনিসে অভ্যাস হয়, পরে তা করা সহজ হয়, নচেৎ তা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্যই হাদিস শরিফে এসেছে, ‘তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের সাত বছর বয়স থেকেই নামাজের নির্দেশ দাও। আর যখন ১০ বছর বয়সে উপনীত হবে, তখন তাদের নামাজে অবহেলায় শাস্তি প্রদান করো।(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
মা-বাবা, শিক্ষক কিংবা অন্য যে কেউ নামাজ পড়ার সময় ছোটদের শিখিয়ে দিতে পারেন। এক হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ছোটবেলার স্মৃতি বর্ণনা করে বলেন, ‘এক রাতে আমি নবী (সা.)-এর পেছনে বাম পাশে করে নামাজে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তিনি নামাজরত অবস্থায় আমাকে তার হাত দিয়ে টেনে নিজের ডান পাশে দাঁড় করিয়ে দেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১/২৫৫)
অনেক সময় দেখা যায়, অবুঝ শিশুরা মসজিদে অনাহূত কিছু কাজ করে বসে। চেঁচামেচি, হৈ-হুল্লোড় ও কান্নাকাটি করে। এতে অন্য মুসল্লিদের মনোযোগ ও ইবাদতে সমস্যা তৈরি হয়। মসজিদে মলমূত্রও ত্যাগ করে দিতে পারে। এ কারণে অনেক মুসল্লি বিড়ম্বনার শিকার হন। তাই শিশুদের মসজিদে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। এই কারণেই রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের মসজিদ অবুঝ শিশু ও পাগলদের থেকে দূরে রাখো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৫০)
তাই যদি শিশু (নাবালেগ) একজন হয়, তাহলে তাকে বড়দের কাতারেই একসঙ্গে দাঁড় করাবে। এতে বড়দের নামাজের কোনো অসুবিধা হবে না। আর শিশু একাধিক হলে, প্রাপ্তবয়স্কদের পেছনে আলাদা কাতারে দাঁড় করানো সুন্নাত। তবে হারিয়ে যাওয়া বা দুষ্টুমি করার আশঙ্কা থাকলে, বড়দের কাতারেও দাঁড় করানো যাবে। (আলবাহরুর রায়েক : ১/৬১৮, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৫৭১)

বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়। অথচ এ ধরনের কাজ অনুচিত। এক হাদিসে আবু কাতাদা আল আনসারি (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুল (সা.) তার নাতনী উমামাহকে কাঁধে নিয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। উমামাহ হলো আবুল আস বিন রাবি ইবনে আবদে শামসের ঔরসে রাসুল (সা.)-এর মেয়ে জয়নব (রা.)-এর সন্তান। রাসুল (সা.) সিজদায় যাওয়ার সময় উমামাহকে নামিয়ে রাখতেন এবং উঠে দাঁড়ানোর সময় পুনরায় কাঁধে উঠিয়ে নিতেন। (বুখারি, হাদিস : ১/১০৯)
অন্য একটি বর্ণনায় আরো এসেছে, একদিন সিজদায় থাকা অবস্থায় রাসুলের (সা.) নাতি হাসান ও হোসাইন এসে তাঁর পিঠে চড়ে বসে। কিন্তু তারা নেমে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি নিজে সরাননি। ফলে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত তিনি সেজদারত থাকেন। নামাজ শেষে তার নিকট দীর্ঘক্ষণ সেজদায় থাকার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি জবাব দিলেন, ‘আমার নাতিরা আমার পিঠে চড়ে বসেছিলো। আমি তাদের বিরক্ত করতে চাইনি।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১১৪১)
অন্য বর্ণনায় এসেছে- নামাজ শেষ করে তিনি নাতিদের কোলে তুলে নেন। (আবু ইয়ালা মাওসিলির আজ-জাওয়াইদ গ্রন্থে আনাস (রা) এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন। উপর্যুক্ত দুটি সূত্র থেকে একই ধরনের বর্ণনা বুখারী ও মুসলিমেও রয়েছে)
মসজিদে শিশুদের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর আচরণ এমনই ছিল। মমতা ও ভালোবাসাময় নবী-আদর্শ অনুসরণ উচিত প্রত্যেকের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Theme Created By ThemesDealer.Com