প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশের ব্যাংকিংখাত থেকে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের ১৭ বিলিয়ন ডলার লুট ও বিদেশে পাচারের প্রসঙ্গ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের জবাব দেন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়- ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের মতে, শেখ হাসিনার সাবেক প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত টাইকুনদের (প্রভাবশালী ব্যবসায়ী) বিরুদ্ধে তার শাসনামলে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অভিযোগটি করেছেন। এটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা বলা হচ্ছে। আপনি কীভাবে এই অর্থ পুনরুদ্ধার করতে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দায়ীদেরকে দায়বদ্ধ রাখতে সাহায্য করতে পারেন?
এ ব্যাপারে জবাব দিতে অনীহা প্রকাশ করে মিলার বলেন, আপনার প্রশ্নের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলি, সেই প্রতিবেদনের সত্যতার বিষয়ে যেমন আমি বলতে পারি না, তেমনি এর প্রভাব কী হতে পারে সেটাও আমারা জানা নেই।বাংলাদেশে ২৫২ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের পর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রয়োগ করার বিষয়টিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মৌলিক স্বাধীনতা যেন উপভোগ করতে পারে, সেটিই চায় ওয়াশিংটন।