প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হলে কোটা আন্দোলনকারীদেরকে বাধা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। হলগুলোর গেট বন্ধ করে রিডিং রুমে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদেরকে আসতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরাবৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ১১টায় কোটা আন্দোলনের মিছিল হওয়ার কথা থাকলে প্রোগ্রামের অজুহাত দিয়ে কিংবা সরাসরি বাধা দিয়ে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আসতে দিচ্ছে না।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও বিজয় একাত্তর হলের গেটে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের ক্যান্ডিডেটরা, অন্যদিকে জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটক রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীকে। হলে মাইক নিয়ে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রচারণা করতে গেলে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়ে মিছিল নিয়ে আসে হল গেটে কিন্তু ছাত্রলীগ নেতারা তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। একইসাথে হল গেট তালা মেরে দেয়। সূর্যসেন হল গেটে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেন, ঝুমা সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রাকিব হোসেন, সহ-সভাপতি মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান শৈশব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান অভি, যুবরাজ, প্রচার সম্পাদক ফয়সালসহ অনেকে এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেয়।
আটক থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাবেদ বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যেতে চাই কিন্তু ছাত্রলীগ হল থেকে বের হতে দিচ্ছে না। ভিতরের ও বাহিরের গেট আটকে দিয়েছে। তারা হল গেটে অবস্থান করছে। যারাই হল গেটে যাচ্ছে তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীরা হল থেকে একসাথে যাওয়ার জন্য জড়ো হই। আমি সকালের খাবার খেতে সূর্যসেন হলে যাই। ক্যান্ডিডেটরা আমাকেও আটকিয়েছিল। বলে এক ঘণ্টার জন্য বের হওয়া যাবে না। পরে আমি বলছি মুহসীন হলের শিক্ষার্থী। তারপরও জেরা করছে৷ পরে জার্সিতে মুহসীন হল লিখা দেখে আমাকে ছাড়ে।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। হলে চোর ধরা পড়েছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান তারা।
সূর্যসেন হলের এক দারোয়ান বলেন, আমরা গেটের দায়িত্বে আছি ঠিকই কিন্তু হল গেটে ছাত্রলীগ তালা মেরেছে। পোলাপানদের মিছিলে যেতে না করেছে। এখন হল চালায় ছাত্রলীগ আমাদের কাছে নিয়ন্ত্রণ নেই।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।