প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্কঃ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকাকে আরও চার বছর শাসন করার সক্ষমতা রয়েছে, এ প্রমাণ দিতে একের পর এক যুক্তি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। তবে কোনো কিছুতেই মার্কিন ভোটার তো দূরে থাক, নিজ দল ডেমোক্র্যাটদের পর্যন্ত আশ্বস্ত করতে পারছেন না ৮১ বছর বয়সী বাইডেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮ ঘণ্টার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন তিনি। সিএনএনের খবর অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রথা মেনে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে সরাসরি বিতর্ক হয় প্রধান দুই প্রার্থী জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। বিতর্কে ট্রাম্পের জোরালো বক্তব্যের বিপরীতে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন বাইডেন। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাদের অসন্তোষ ও আতঙ্কের মাত্রা এতই প্রবল যে তারা বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছেন। দিন যত সামনে যত গড়াচ্ছে, তাদের এই দাবি ততই জোরদার হচ্ছে।
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, বাইডেন নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সক্ষমতা নিয়ে আরও ডেমোক্র্যাট সন্দেহ করছেন। তাদের সন্দেহের জোয়ারে তিনি ভেসে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। আজ ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। দেশটিতে সরকারি ছুটির দিন। তাই কাজ-কর্মের তেমন চাপ নেই। এই সুযোগে বাইডেন হোয়াইট হাউসে তার পরিবারের সদস্যদের জড়ো করবেন। নির্বাচনী প্রচারের ভাগ্য নির্ধারণে এই সদস্যরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সম্ভবত এখন রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮ ঘণ্টায় দাঁড়িয়ে আছেন। এই সময়ের মধ্যে তার সবকিছু ঢেলে সাজাতে হবে।
বুধবার মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বিবেচনা করে দেখছেন। তবে এই জল্পনায় পানি ঢেলে দিয়ে এই দিন বাইডেন ঘোষণা দেন তিনি সরছেন না। এরপরই ২০ জন ডেমোক্র্যাট গভর্নরকে হোয়াইট হাউসে ডেকে নেন। নির্বাচন করার মতো শক্তি ও সামর্থ্য রয়েছে, তার প্রমাণ দিতেই তিনি এই কাজ করেন। এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) এবিসি নিউজে একটি সাক্ষাৎকার দেয়ার কথা জানিয়েছেন বাইডেন। এটি ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে তার জন্য। কারণ এখানে দুর্দান্ত ও চটপটে পারফরম্যান্স করে তাকে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিতেই হবে। তা না হলে ভোটারদের দাবির জোয়ারে তাকে ভেসে যেতে হতে পারে।